
নাছিমা আক্তার নামে এক নারী অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় নিকেতন মোল্লা মার্কেটের ৩য় তলায় পরিচালিত একটি এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারণা করে তার গ্রামের ৩০ জনের পাসপোর্ট হেফাজত রেখে ১,০৫,০০,০০০ (এক কোটি পাঁচ লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করেছেন মো: নাজমুল হাসান (পিতা: মো: আমির হোসেন, মাতা: মিসেস আখি আমির)।
ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার জানান, প্রায় দুই বছর পূর্বে তিনি নাজমুলের এজেন্সিতে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। নাজমুলকে বিশ্বাস করে তিনি তার গ্রামের পরিচিত ৩০ জনের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তাকে দেন। নাজমুল বিভিন্ন অজুহাতে সময় নিয়ে ওই ৩০ জনের কাছ থেকে মোট ১,০৫,০০,০০০ টাকা গ্রহণ করেন। পরে পাসপোর্টধারীরা বিমানবন্দরে গেলে তাদের ভিসা জাল বলে জানানো হয়।
নাছিমা অভিযোগ করেন, বিষয়টি জানালে নাজমুল কোনো সমাধান না করে প্রতিশ্রুতি থেকেই দূরে সরে যান। পরবর্তীতে নাজমুলকে একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও প্রতি ফোনে উত্তর পাওয়া যায়নি এবং কিছু সময় পর তার মোবাইলটি সম্পূর্ণ বন্ধ পাওয়া যায় — ফলে কোনোভাবে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এমনকি অফিসে ফোন করলেও অভিন্নভাবে উত্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা হতাশ হয়েছেন। পরে ওই ৩০ জন পাসপোর্টধারী ব্যক্তি নাজমুলের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতারণার মামলা করেন। নাজমুলকে এক পর্যায়ে হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানো হলেও জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও গায়েব হয়ে যান।
ভুক্তভোগী নাছিমা আরও জানান, নাজমুলের অনিশ্চিত ব্যবহারের ফলে পাসপোর্টধারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার বসতভবন ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে এবং পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে—এর ফলে তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। তিনি দাবি করেন, নাজমুল শুধু তার পরিবারের ৩০ জনকে প্রতারণা করেনি, বরং আরও অনেকে একই কায়দায় টাকার বিনিময়ে বিদেশ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন।
নাছিমা আক্তারের দাবি ও অনুরোধ:
অভিযোগের দ্রুত ও স্থির সমাধান করা হোক।
মো: নাজমুল হাসানকে পুনরায় গ্রেফতার করে তদন্তের আওতায় আনা হোক।
পাসপোর্টধারী ৩০ জনের কাছ থেকে নেওয়া মোট ১,০৫,০০,০০০ টাকা ভুক্তভোগীদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হোক।
ভুক্তভোগী নাছিমা বলেন, “আমি মধ্যস্ততা করে এই মানুষগুলোর পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দিয়েছিলাম। তাদের আশা-ভরসা ভেঙে যাওয়ায় আমরা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভুগছি। অভিযুক্তের দীর্ঘদিন ধরে ফোনে অনুত্তরী ও মোবাইল বন্ধ থাকার কারণে আমরা কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি না। তাই দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব।”
এসংক্রান্ত তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা অভিযুক্তের কোনও স্বজনের প্রতিক্রিয়া এ সংবাদ প্রকাশের সময় পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের আলোকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং যোগাযোগ না পাওয়া ও মোবাইল বন্ধ থাকার বিষয়টি অনুধাবন করে দ্রুত খোঁজ ও অনুসন্ধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংক্ষেপে: ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তারের অভিযোগ — নাজমুলের নামে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ, ৩০ জনের পাসপোর্ট ও ১,০৫,০০,০০০ টাকা আত্মসাৎ; অভিযুক্তের ফোনে একাধিকবার উত্তর না পাওয়া ও মোবাইল বন্ধ থাকার ফলে যোগাযোগ ব্যাহত; পুনরায় গ্রেফতার ও টাকার ফেরতের দাবি।