
ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড় এলাকায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শান্তা ইসলাম নামে এক বিউটিশিয়ানের (৩২ বা ৩৩ বছর) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শান্তা ইসলাম “ইয়াং লাইফ অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড লেজার সেন্টার” নামে একটি বিউটি পার্লারের মালিক ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কাইয়ূম উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত কাওসার মোল্যার মেয়ে। তাঁর বিবাহিত ছিলেন এবং ২০২০ সালে স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক বিচ্ছেদ হয়, এবং তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শান্তার এক নারী কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, ঘটনার রাতে শান্তা তার সাবেক স্বামী “রুমন” এর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে চিৎকার শুনে ওই কর্মচারী ঘরটির দরজায় আসলে শান্তাকে ভিতর থেকে আটকে দেওয়া হয়। সকালে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে শান্তা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিলেন।
পুলিশ এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করছেন। যদিও একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে যে গত বিরোধ ও মানসিক চাপের কারণে শান্তা আত্মহত্যা করেছেন বলে কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন, তবে পুলিশ এখনও সর্বশেষ প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করতে ময়নাতদন্ত ও তদন্ত চালাচ্ছে।