৩০টি প্রতিষ্ঠানের ৯৫০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ, ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য মনোনীত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (বিকে,এ)-এর উদ্যোগে ২০২৪ সালের মেধা বৃত্তি মূল্যায়ন পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় ভাঙ্গা উপজেলার প্রায় ৩০টি কিন্ডারগার্টেনের ৯৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫০০-এর বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়।
পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা
পুরো পরীক্ষার কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (বিকে,এ) ফরিদপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও ভাঙ্গা উপজেলা সভাপতি কুমারেশ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসহাক মিয়া এবং অর্থ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন।
তাদের দক্ষ নেতৃত্বে পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া কচি-কাঁচা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে, বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন (বিকে,এ)-এর উপদেষ্টা মোঃ জালাল মাস্টার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—
সাধারণ সম্পাদক ও আল হেরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক মিয়া,
অর্থ সম্পাদক ও মায়ের আদর আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক জায়েদা বেগম, বিলকিস আক্তার, সাংবাদিক মাহমুদুল হক বাহার, মানবাধিকার উপ-পরিচালক মোঃ ছানোয়ার মাতুব্বর, সমাজকর্মী মোঃ সায়েম মাতুব্বর, শিক্ষক-অভিভাবকসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসহাক মিয়া বলেন—> “প্রজন্মকে সৃজনশীল ও নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে আমরা ‘শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি’ এই স্লোগান নিয়ে পথচলা শুরু করি। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুরা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করতে পারে— সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। প্রতি বছরই আমরা এভাবে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করব।”
অতিথিরা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনে সফলতা অর্জন ও আলোকিত বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
এ বছর বৃত্তি অর্জন করেছে—
জারিন খলিফা, মোহাম্মদ হোসেন মাতব্বর, স্বামীর মাতব্বর, হাফিজা, সুফিয়া—সহ আরও বেশ কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থী।
তাদের এই সাফল্যে বিদ্যালয় পরিবার, শিক্ষক-অভিভাবক ও অতিথিরা আনন্দ ও গর্ব প্রকাশ করেন।