
টাইফয়েড জ্বর ও এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষার লক্ষ্যে সারা দেশে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এর অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলায়ও ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই টিকাদান কর্মসূচি, যা চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই সময়ে জেলার ১ থেকে ১৫ বছর বয়সী মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯৮৮ জন শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে এ টিকা প্রদান করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কার্যক্রম চলাকালে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলহাস মাতুব্বর, শিক্ষক ওয়াহিদ চোকদার, শিক্ষিকা নাছিমা আক্তার, শিক্ষক খন্দকার বিপ্লব, শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম, শিক্ষক মোঃ সোহাগ বেপারী এবং শিক্ষক সুমন চন্দ্র সাহা।
প্রধান শিক্ষক জুলহাস মাতুব্বর বলেন,> “টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা মূলত দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। টিকা নেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা টাইফয়েডসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকেও অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকে। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে আজ টিকা দেওয়া হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে টিকা নিতে পারেনি, তারা সুস্থ হয়ে পরবর্তীতে টিকা গ্রহণ করবে।”
শিক্ষক ওয়াহিদ চোকদার বলেন,> “টিকা মানে সুরক্ষা— এটি শুধু একটি শিশুকে নয়, পুরো সমাজকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তাই প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানকে টিকা দিতে উৎসাহিত করা।”
স্বাস্থ্যকর্মী শওকত হাওলাদার বলেন,>
“টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান একটি অত্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ। আমরা চাই প্রতিটি শিশু সুস্থ ও নির্ভয়ে বেড়ে উঠুক। অভিভাবকদের উচিত টিকাদানের দিন সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সন্তানদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসা। এই টিকা একবার নিলেই দীর্ঘ সময় টাইফয়েডের ঝুঁকি কমে যায়।”
দিনব্যাপী এই টিকাদান কার্যক্রম শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যাতে তারা সুস্থ, সচেতন ও ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে পারে।
স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে।